২০১৮ সালে ময়মনসিংহের ফ্যাসিস্ট পুলিশ তৎসময়ের জেলা গোয়েন্দা ডিবি পুলিশের ইনচার্জ আশিকুর রহমান কে ১০ লক্ষ টাকা চাঁদা না দেওয়ায় নগরীর পুরোহিত পাড়ার অসহায় নিরিহ হারুন অর রশিদের থেকে রাজন’কে রাতের গভীরে বাসা থেকে তুলে এনে সংগীয়দের কে সাথে নিয়ে ক্রসফায়ারে নির্মম ভাবে হত্যা করে বলে নিহত রাজনের পিতা হারুন অর রশিদ ছেলে হত্যার বিচার চেয়ে চিৎকার করে অভিযোগে জানায় শুধু তাই নয় ডিবি ইনচার্জ আশিকুর রহমান পরবর্তীতে বাদীর সহোদর ভাই এবং নিহত রাজনের চাচা আলালকে হত্যা মামলায় অভিযুক্ত আসামি করে আদালতের চার্জ সীট দাখিল করে অন্যত্র বদলী হয়ে যায়, যা বাদী হারুন অর রশিদ এবং চাচা আদৌও কিছু জানতেন না।
এ অবস্থায় দীর্ঘদিন পরে নিহত রাজনের পিতা হারুন অর রশিদ ও চাচা আলাল বিষয় টি জানতে পেরে ন্যায় বিচার দাবীতে এবং মামলা থেকে রেহায় পেতে গত ২০/১০/২০২৪ ইং তৎসময়ের দায়িত্বে থাকা ওসি আশিকুর রহমান আশিক সহ ১৭ জনকে অভিযুক্ত আসামি করে আদালতে অভিযোগ দাখিল করলে বিজ্ঞ আদালত অভিযোগ টি কোতোয়ালী মডেল থানার অফিসার্স ইনচার্জ কে তদন্ত পূর্বক রিপোর্ট প্রদানের আদেশ দেন এবং সর্ব শেষ আইনজীবীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিজ্ঞ আদালত গত ২০ এপ্রিল রবিবার ২০২৫ ইং অভিযোগ টি আমলে নিয়ে ময়মনসিংহ পি বি আই পুলিশ কে তদন্ত রিপোর্ট প্রদানের আদেশ দেন।
এদিকে মামলার বাদী নিহত রাজনের পিতা হারুন অর রশিদ ও তার চাচা আলাল ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় থাকায় ইচ্ছে থাকা সত্বেও আদালতে কোন প্রকার অভিযোগ দাখিল করতে পারেনি প্রানের ভয়ে, অবশেষে আওয়ামীলীগ সরকার পালিয়ে যাওয়ায় ন্যায় বিচার পাওয়ার প্রত্যাশায় অভিযোগ টি দাখিল করেছেন এবং তার প্রত্যাশা অবশ্যই ছেলে হত্যার ন্যায় বিচার পাবেন এমনকি ভাই আলালও মামলা থেকে অব্যাহতি পাবেন বলে বাদী হারুন অর রশিদ জানায়, অপরদিকে নিহত রাজনের চাচা আলাল চোখের জ্বলে আক্ষেপ করে ভাতিজা হত্যার ন্যায় বিচার দাবীতে সকলের দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করে বলেছেন আমার আপন ভাতিজা কে ক্রসফায়ারে ডিবি ইনচার্জ আশিকুর রহমান আশিক সহযোগীদের নিয়ে হত্যা তো করেছেই সাথে আমাকেও আসামি করে আদালতের চার্জ সীট দাখিল করছে, আমি সঠিক তদন্তের মাধ্যমে ন্যায় বিচার কামনা করছি আশা রাখি ন্যায় বিচার পাবো।