নেত্রকোনার দুর্গাপুরে বন্ধুকে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের কর্মী সাজিয়ে পুলিশে দিয়ে তাঁর প্রেমিকাকে ধর্ষণের মামলায় এক ছাত্রদল নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় অভিযুক্ত উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. ফয়সাল আহমেদ দুর্জয়কে (২৪) সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। পুলিশ তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে।
আজ বুধবার সকালে জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক অনিক মাহবুব চৌধুরী বহিষ্কারের তথ্য নিশ্চিত করেছেন। গতকাল মঙ্গলবার রাতে জেলা ছাত্রদলের সহসভাপতি শামছুল হুদা শামীমের স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে দুর্জয়কে বহিষ্কারের তথ্য জানানো হয়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, নেত্রকোনা সদর উপজেলার বাসিন্দা এক কলেজছাত্রী ফয়সাল আহমেদ দুর্জয়ের বিরুদ্ধে এই ধর্ষণ মামলা করেন। কলেজছাত্রীর সঙ্গে কলমাকান্দা উপজেলার বাসিন্দা ও জেলা শহরের একটি কলেজের সম্মান তৃতীয় বর্ষের ছাত্র মুন্না মিয়ার (২৭) সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। তাঁরা দুজন গত সোমবার দুর্গাপুরে ঘুরতে যান। এ সময় বান্ধবীকে হোটেলে রেখে মুন্না বাইরে খাবার কিনতে গেলে সেই ফাঁকে ফয়সাল পুলিশকে জানান, তাঁর বন্ধু ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। পুলিশ যেন দ্রুত তাঁকে আটক করে। খবর পেয়ে পুলিশ মুন্না মিয়াকে আটক করে।
এদিকে এই সুযোগে ফয়সাল ওই ছাত্রীর কক্ষে ঢুকে তাঁকে ধর্ষণ করেন। আটক হওয়ার পর মুন্না পুলিশকে জানান, তাঁর বান্ধবী হোটেলের কক্ষে খাবারের জন্য অপেক্ষা করছেন। পরে পুলিশ মুন্নাকে নিয়ে হোটেলের কক্ষে গেলে দরজা বন্ধ অবস্থায় ছাত্রীর চিৎকার শুনতে পান। এ সময় ছাত্রীকে উদ্ধারসহ ছাত্রদলের নেতা ফয়সাল আহমদকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় হোটেলের ব্যবস্থাপক পীযূষ দেবনাথকেও (৩২) আটক করে পুলিশ।
দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, কলেজছাত্রী বাদী হয়ে ছাত্রদল নেতা ফয়সালের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করেছেন। ফয়সালকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ সকালে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মামলার বাদী ছাত্রীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
ওসি মাহমুদুল হাসান আরও বলেন, মুন্না নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী হওয়ায় তাঁকে অন্য মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া ধর্ষণের ঘটনায় সহায়তার অভিযোগে হোটেল ব্যবস্থাপককেও আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।