ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসকের বাংলোর নিরাপত্তা, সৌন্দর্য, এবং কাঠামোগত অখণ্ডতা বজায় রাখতে চলমান কাজের ফলে জেলা
প্রশাসকের সরকারি বাসভবনের সীমানাপ্রাচীরে আঁকা জুলাই গণঅভ্যুত্থানের গ্রাফিতির উপরে নতুন ভাবে রং করায় জুলাই গ্রাফিতি মুছে যাওয়া নিয়ে ভূল বুঝে ঢাকা থেকে প্রকাশিত জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত সংবাদের প্রেক্ষিতে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়ে সকলকে ধৈর্য ধরার আহবান জানিয়েছেন ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলম। তিনি জানান- দীর্ঘ দিন ধরে সীমানা প্রাচীরের সংস্কার না করায় সেখানে ময়লা লেগে এর পরিচ্ছন্নতা নষ্ট হওয়ায় সেখানে নতুন করে সরকারিভাবে রং করার কাজ চলছে। পরবর্তীতে রং করা নতুন পরিস্কার পরিচ্ছন্ন প্রাচীরের উপর আবারো জুলাই গণঅভ্যুত্থানের গ্রাফিতি আঁকা হবে। কারণ জুলাই গণঅভ্যুত্থান আমাদের সকলের চেতনা ও আদর্শ।
জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলম বলেছেন, ‘২৪-এর গণঅভ্যুত্থানের শহীদরা আমাদের প্রেরণার বাতিঘর। তাদের চেতনা আমরা লালন করি। তারা আমাদের জাতীয় সম্পদ। তারা যে উদ্দেশ্যে জীবন দিয়েছেন আমরা যেন তাদের সম্মান সমুন্নত রাখতে পারি সে লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছি আগামীতে করে যাবো।
তিনি জানান, গত বছরের ৫ আগস্ট জেলা প্রশাসকের বাংলো, দেয়াল, ভবনের গেইট ও পাঁচটি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ প্রাপ্তির পর ভবন, দেয়াল ও চারপাশে কাঁটাতারের বেড়া বসানোসহ বিভিন্ন সংস্কার কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়। কাজেরই ধারাবাহিকতায় কিছু পুরোনো গ্রাফিতি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
ডিসি বলেন, “ভবন ও দেয়ালের নিরাপত্তা রক্ষায় গণপূর্ত অধিদপ্তর কাজ পরিচালনা করছে। ঠিকাদার নিয়োগ দিয়েছে গণপূর্ত, জেলা প্রশাসকের এ বিষয়ে কোনো সম্পৃক্ততা নেই। কাজ চলাকালীন সময়ে কিছু গ্রাফিতিতে সিমেন্টের আঁচড় পড়ায় কিছুটা বেমানান দেখাচ্ছে। তবে ভুল বোঝাবুঝির কোনো অবকাশ নেই। কাজ শেষ হলে পূর্বের চাইতে আরও সুন্দর ও মনোমুগ্ধকরভাবে গ্রাফিতি পুনরায় আঁকা হবে—ইনশা আল্লাহ।”
তিনি জানান- জেলা প্রশাসনের বাংলোর নিরাপত্তা, সৌন্দর্য, এবং কাঠামোগত অখণ্ডতা বজায় রাখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রক্রিয়ার অংশ হিসাবে
বাংলোর চারপাশের সীমানা প্রাচীর বা দেয়াল মেরামত করা হয় যেখানে ভাঙা অংশ মেরামত করা, ফুটো ভরাট করা, এবং প্রয়োজন হলে পুনরায় প্লাস্টার বা রঙ করার মতো কাজ অন্তর্ভুক্ত থাকে।সংস্কারের প্রক্রিয়া হিসাবে ১. মূল্যায়ন: প্রাচীরের অবস্থা পরীক্ষা করে দেখতে হয় কোথায় কোথায় ফাটল ধরেছে, ভাঙা অংশ আছে, নাকি প্লাস্টার খসে পড়েছে।
২. পরিষ্কার করা: দেয়ালের ভাঙা অংশ বা আলগা প্লাস্টার সরিয়ে একটি পরিষ্কার পৃষ্ঠ তৈরি করা হয়।
৩. ফাটল ভরাট: ফাটলগুলো সিমেন্টের মর্টার বা উপযুক্ত ফিলার দিয়ে ভরাট করা হয়।
৪. প্লাস্টার ও ফিনিশিং: প্রয়োজন হলে নতুন প্লাস্টার করা হয় এবং দেয়াল মসৃণ করার জন্য ফিনিশিং করা হয়। ৫. রঙ করা: সব কাজ শেষে দেয়ালের সৌন্দর্য বাড়াতে এবং সুরক্ষার জন্য রঙ করা হয়।
এই সংস্কার বাংলোকে আরও মজবুত এবং আকর্ষণীয় করে তোলে। সেই আকর্ষণ বৃদ্ধির লক্ষেই ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসকের বাংলোর প্রাচীরে সংস্কারের কাজ চলমান রয়েছে যা নিয়ে জেলা প্রশাসককে নিয়ে অপপ্রচার করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, “আমি নিজেও ’২৪’ এর আদর্শকে লালন করি। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত-নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা আমারো রয়েছে। এর চেতনার পরিপন্থী কোনো কাজ আমার দ্বারা কখনো হবে না, এ ব্যাপারে সকলকে আশ্বস্ত করতে চাই।”