মোহাম্মদ আজারুল ইসলাম আজাদ ময়মনসিংহ সদর উপজেলা পরানগঞ্জ ইউনিয়নের বীর বওলা গ্রামের একজন সাধারন ব্যবসায়ী সুনামের সাথে বহুদিন যাবত ব্যবসা করে আসছে। লবেট গাড়ি ছিনতাই এর অনেকদিন পূর্বে একটি লরি বালুর বডি বিক্রি করি. আমার বডি বিক্রি করার সময় শরিফুলকে বলি সৈকত এন্টারপ্রাইজের নামটা যেন মুছে, যাতে রোডে গাড়ি চালাই। রোডে এক্সিডেন্টের বয় আছে এক্সিডেন্ট হলে আমাকে জরিপানা করতে পারে এই নাম থাকলে।
এক লক্ষ বিশ হাজার টাকা দরদাম করে আশরাফুল আমাকে ৫০০০০ টাকা বায়না দেয়। আশরাফুল কিছুক্ষণ পর আমার মোবাইলে ফোন করে বলে আপনার কাছ থেকে এক লক্ষ বিশ হাজার টাকা দরদাম করে বডি কিনছি। কিন্তু আমি ও ইমরান ৩০০০০ টাকা দালালি খাব। আপনি এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা শরিফুল এর কাছে বলবেন। তারপর শরিফুল আপনার কাছ থেকে চলে গেলে আমাকে দালালির ৩০০০০ টাকা ফেরত দিবেন এই বলে বডি বিক্রি করি। আমাকে শরিফুল আরো এক লক্ষ টাকা হাতে দেয়। তারপর আশরাফুলকে বলে ড্রাইভার নিয়ে ইঞ্জিন নিয়ে আসো বডি নিতে হবে তারপর শরিফুল চলে যাই। আমি আশরাফুলকে ও ইমরানকে ৩০০০০ টাকা ফেরত দেই।
লরীর বডি বিক্রির কিছুদিন পর হঠাৎ আশরাফুল আমাকে ফোন করে বলে শম্ভুগঞ্জে কিছু লোক আমার গাড়ি আটকে রাখছে আপনি আসেন. আপনার কাছে এই লোক বলে টাকা পায়। তখন আমি ছিলাম গাজীপুরে তখন আমি বলি সে যদি আমার কাছে টাকা পায় তাহলে আমার কাছ থেকে নিবে। আমি ২৩ সালে শ্মভুগঞ্জের সাথে পাওনা পরিশোধ করেছি সে কিসের টাকা পায় আমার কাছে।
তার দুইদিন পর পরানগঞ্জ বাজারে গণ্যমান্য লোক জন দ্বারা একটি দরবার হয়। এই দরবারে জুলহাস মেম্বার আমাকে বলে ৩০০০০ টাকা দিব বডি টা এনে দাও। তখন আমি আজহারুল ইসলাম আজাদ বলি আপনি আমার সাথে থাকলে চেষ্টা করব। তারপরের দিন শরিফুলকে আসতে বলি আসলে তাকে বলি যে তোমার গাড়ি বডি আটকে রাখছে তার বিরুদ্ধে একটা অভিযোগ করতে হবে থানায়। কিন্তু তিনি অভিযোগ করতে অস্বীকার করে তখন আমি বলি তাহলে বডি উদ্ধার করা সম্ভব হবে না। এই আশরাফুল ও ইমরান শম্ভুগঞ্জের লোকদের সাথে আতাত করে এক হয়ে আমাকে বিভিন্ন চাপ দিচ্ছে, যেন এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা ফেরত দিতে। আমি বলি আমার বিক্রি করা বডি এক লক্ষ 20 হাজার টাকা দিয়া দিব, আমার বডি আমাকে ফেরত দাও না চালাইতে পারলে।
তারা এই কথা শুনেনা নানান হুমকি দেওয়া শুরু করে আমাক। তারিই জের ধরে
আমার একটা লরি লভেট গাড়ি আছে উক্ত লভেট গাড়ি নিয়ে বিভিন্ন এলাকায় ভেকু মেশিন আনা নেওয়ার ভাড়া মারি। ২৫ /৭/২০২৫ রোজ শুক্রবার হঠাৎ একটা মোবাইল থেকে যার নাম্বার ০১৪০০৭৮৭৮৭৫থেকে আমার মোবাইলে ফোন আসে। পারতলা বাজার থেকে রহিমগঞ্জ বাজারে বেকু মেশিন নিয়ে দিতে হবে। আমি ৩০০০ টাকা ভাড়া চাই তিনি রাজি হয়ে বলে লবেট গাড়ি পাঠান পারতলা বাজারে। তখন আমার ছেলে ড্রাইভার কে বলি গাড়ি নিয়ে পাটতলা বাজার থেকে ১০০ গজ দূরে হালিম খার বাড়ির সামনে যতেই পাকা রাস্তার উপরে ওত পেতে বসে থাকা ৯-১০ জন লোক জুলহাস গং রা আমার ছেলে ড্রাইভারকে রড দিয়া এলোপাথাড়ি পিটাইতে থাকে এবং ছুরি দিয়া পেটে ও হাতে জখম করে লবেট গাড়ি ছিনিয়ে পালিয়ে অন্যত্র চলে যায়।তারপর পাটতলার স্থানীয় লোকজন আশরাফুল ও শরিফুলকে আটক করে জিন্নাত আলী চার দোকানে বন্দী করে রাখে। আমি আজহারুল ইসলাম আজাদ ৯৯৯ ফোন করি এক ঘন্টা পর ফুলপুর থানা থেকে পুলিশ আসলে পুলিশের গাড়ি দেখে এই জিন্নাত আলী ও তার আপন ভাই ইন্নাস আলী মিলে গন্ডগোল শুরু করে দেয় আমার সাথে। তখন পিছনের দরজা দিয়ে তাদেরকে অন্যত্র পাঠিয়ে দেয়। তারপর আমি জানতে পারি জিন্নাত আলী চা দোকানদার এই আটক দুজনের বোনজামাই হয়। আমার কথা হলো স্থানীয় লোকজন ছাড়া কিভাবে সম্ভব গাড়ি ছিনতাই করা।
আমার ছেলেকে ময়মনসিংহ মেডিকেল ভর্তি করি এবং এই বিষয়ে আদালতে একটি মামলা করি যা চলমান আছে। এখন উল্টো মানহানি কর অপবাদ দিয়ে আমার বিরুদ্ধে ভুয়া সংবাদ প্রকাশ করে। এই ছিনতাইকারীরার উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে লরি গাড়ির বডি ব্যক্তির প্রতারণার অপবাদ দেওয়া হচ্ছে আমাকে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। এমন একটি জঘন্য ঘটনার শিকার হওয়ার পরেও যারা এই অপরাধের সঙ্গে জড়িত তারাই উল্টো আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনেছে। তারা প্রচার করছে যে তিনি লরি গাড়ি বডি বিক্রি করে প্রতারণা করছেন। যা আমার সম্মান ও সোনামকে মারাত্মকভাবে ক্ষুন্ন করছে। এই মিথ্যা অপবাদের পেছনে একটি গভীর ষড়যন্ত্র করছে বলে পৌতিয়মান হয়। অপরাধীরা তাদের নিজের অপরাধ ডাকতে এবং আজহারুল ইসলাম আজাদকে সামাজিক ভাবে হ্যায়ো প্রতিপন্ন করতে এই ধরনের মানহানি কর অপপ্রচার চালাচ্ছে। এই অপবাদ গুলি শুধুমাত্র তার ব্যক্তিগত জীবনকেই প্রভাবিত করছে না বরং তার ব্যবসায়িক সোনামকে নষ্ট করছে এই সঠিক বিচার দাবি করেন।
আজহারুল ইসলাম আজাদ